আধুনিক ইতিহাসের উপাদান হিসেবে আত্মজীবনী ও স্মৃতিকথার গুরুত্ব কোথায়
আধুনিক ইতিহাসের উপাদানরূপে আত্মজীবনী ও স্মৃতিকথার গুরুত্ব
আধুনিক ভারতের ইতিহাসে অনেক গুরুত্বপূর্ণ মুহূর্ত অথবা ঘটনা ঘটে গিয়েছে। সেই ঘটনা গুলিকে কেউ তাদের আত্মজীবনী লেখে গেছেন, আর কেউ স্মৃতিকথা হিসেবে সংরক্ষণ করেছেন। আত্মজীবনী ও স্মৃতিকথা ইতিহাসের উপাদান হিসেবে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
আত্মজীবনী ও স্মৃতিকথা
আত্মজীবনী ও স্মৃতিকথা হলো লেখকের জীবনের সময়ের সাক্ষী। আত্মজীবনী ও স্মৃতিকথায় লেখকে তার জীবনের অভিজ্ঞান, সংঘটনা, সফলতা, ব্যর্থতা, সংঘর্ষ, প্রেম, বন্ধুত্ব, শিক্ষা, পরিবার, সমাজ, সংস্কৃতি, আদি সম্পর্কিত ঘটনাগুলি সংরক্ষণ করে।
আত্মজীবনী ও স্মৃতিকথার গুরুত্ব
আত্মজীবনী ও স্মৃতিকথার গুরুত্ব অপরিসীম। আত্মজীবনী ও স্মৃতিকথার মাধ্যমে আমরা অতীতের ঘটনাগুলি জানতে পারি, লেখকের দৃষ্টিভঙ্গী সম্পর্কে ধারণা পেতে পায়, এবং সমসাময়িক জীবনের চিত্র ফুটিয়ে তােলে যার ফলে সে সময়ের রাজনৈতিক ও আর্থ-সামাজিক দৃষ্টিভঙ্গী পর্যালোচনা করতে পারি। আমরা স্থানীয় ইতিহাস চর্চার ক্ষেত্রকে প্রসারিত করে। স্থানীয় ইতিহাস রচনার ক্ষেত্রে এই উপাদান সহায়ক ভূমিকা পালন করে এবং জাতীয় ইতিহাসের বহু অনালােচিত, অনালােকিত এবং উপেক্ষিত বিষয়ের উপর আলােকপাত করতে পারি।
বিভিন্ন আত্মজীবনী ও স্মৃতিকথা
ভারতের ইতিহাসে আত্মজীবনী ও স্মৃতিকথা একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ। এই জীবনী গ্রন্থের মধ্যে বিপিনচন্দ্র পালের "সত্তর বৎসর", রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের "জীবনস্মৃতি", সরলাদেবীর "জীবনের ঝরাপাতা", কেশবচন্দ্র সেনের "জীবনবেদ", আশালতা সরকারের "আমি সূর্যসেনের কন্যা", মনিকুন্তলা সেনের "সেদিনের কথা", এবং সুফিয়া কামালের "একাত্তরের ডাইরি" উল্লেখযোগ্য।
সীমাবদ্ধতা
সীমাবদ্ধতা সম্পর্কে বলতে গেলে বলা যায় যেহেতু স্মৃতিকথা লেখকরা স্মৃতিপট থেকে সংগ্রহ করে আনেন, তাই অনেক সময় প্রকৃত ঘটনা এবং স্মৃতিকথায় বর্ণিত ঘটনার মধ্যে অসংগতি বা অতিরঞ্জিত ব্যাপার চোখে পড়ে।
মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন